Wednesday, June 4, 2014

জেনে নিন ধনীদের ১৯ টি দিক যা সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক !

কোন কোন বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে ধনী মানুষদের, এ প্রশ্ন ভাবায় বহু মানুষকে। জানা যায়, ধনী মানুষেরা বহু বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্নভাবে দেখেন। এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার কারণেই তাদের অনেকে ধনী হয়ে ওঠেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে
সাধারণ মানুষ যেখানে বিশ্বাস করেন, ‘অর্থই সকল অনর্থের মূল’। সেখানে ধনী মানুষেরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখেন। তারা বিশ্বাস করেন, দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে রয়েছে। আর এ কারণেই তারা এ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। তাদের অনেকেই অবশ্য জানেন যে, অর্থ কারো সুখ আনতে পারে না, তারে পরেও এটি জীবনকে সহজ ও উপভোগ্য করতে সাহায্য করে।
২. স্বার্থপরতা একটা মহৎ গুণ
বহু মানুষ স্বার্থপরতাকে একটি বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা সে বিষয়টিতে কোনো দোষ খুঁজে পান না। তারা নিজেদের সুখী হিসেবেই দেখতে চান এবং বিশ্বকে রক্ষার কোনো উদ্দেশ্য তাদের থাকে না। এ কারণে মধ্যবিত্তরা স্বার্থপরতাকে বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা মহৎ একটি গুণ হিসেবেই বিবেচনা করেন।
৩. ধনীদের আগ্রাসী মনোভাব থাকে
সাধারণ বহু মানুষের মানসিকতা লটারির ওপর নির্ভর করে। তবে ধনীরা কখনোই এর সঙ্গে একমত হন না। তারা তার বদলে নিজের পরিশ্রমের ওপরই নির্ভরশীল।
৪. নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানার্জনে বিশ্বাস করেন তারা
অধিকাংশ মানুষই যেখানে বিশ্বাস করেন প্রাতিষ্ঠানিক সাধারণ শিক্ষা তাদের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বহু ধনী ব্যক্তিই এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকেন। তারা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী থাকেন।
ধনীদের যে ১৯টি বিশ্বাস অন্যদের তুলনায় ভিন্ন
৫. ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন তারা
সাধারণ বহু মানুষ অতীত নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তারা মনে করেন অতীতে আমরা অনেক ভালো সময় কাটাতাম। এ ধরনের অতীতমুখী মানুষ সাধারণত ধনী হয় না। তার বদলে যারা ভবিষ্যতের চিন্তায় বিভোর থাকেন, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে এবং ধনী হতে সক্ষম হন।
৬. টাকা-পয়সার বিষয় যুক্তির সঙ্গে দেখেন
অধিকাংশ মানুষ টাকা-পয়সার বিষয়টি দেখেন আবেগের সঙ্গে। কিন্তু সফল ও ধনী মানুষেরা এসব দিক দেখেন যুক্তির সঙ্গে।
৭. আগ্রহের বিষয়ে কাজ করেন তারা
বহু মানুষই নিজের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা এসব অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন না। তারা নিজের আগ্রহের বিষয় নির্ণয় করে শুধু তাই নিয়েই মেতে থাকেন এবং সফলতা লাভ করেন।
৮. তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন
সাধারণ মানুষ যেখানে কম মাত্রায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং সে অনুযায়ী জীবনধারণ করেন। মনোবিদরাও এ বিষয়টি সমর্থন করেন। এতে মানুষের হতাশা কম হয়। কিন্তু ধনীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং তাতে বিজয়ী হতে ক্রমাগত চেষ্টা করেন।
৯. ধনী হওয়ার জন্য আপনার কিছু একটা হতে হবে
অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করেন ধনী হওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু একটা কাজ করতে হবে। কিন্তু ধনী মানুষেরা কোনো একটা কাজের ওপর নির্ভর করেন না। তারা বিশ্বাস করেন, ধনী হওয়ার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালাতে হবে।
১০. ধনীরা অন্যদের অর্থ ব্যবহার করেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করেন, আপনার কিছু টাকা থাকতে হবে টাকা বানানোর জন্য। তবে ধনীরা এ ধারণায় বিশ্বাসী নন। তাদের নিজেদের পকেটে টাকা না থাকলেও তারা অন্য মানুষের টাকা ব্যবহার করে ধনী হতে পিছপা হন না।
১১. ধনীরা জানেন, বাজার চলে আবেগের ওপর
সাধারণ বহু মানুষই বিশ্বাস করেন তারা যুক্তি ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে চলেন। কিন্তু ধনীরা জানেন, বাজারের ক্রেতারা আবেগ ও লোভের বশে চলে। মানুষের স্বাভাবিক এ ধর্মটির বিষয়ে ধনীরা অবহিত থাকেন।
১২. সন্তানকে ধনী হওয়া শেখান তারা
অধিকাংশ মানুষ তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেন, কীভাবে টিকে থাকতে হয়। কিন্তু ধনী বাবা-মা তাদের সন্তানশে শেখান কীভাবে আরও ধন-সম্পদ অর্জন করা যায়।
১৩. ধন-সম্পদের কারণে বিচলিত হন না তারা
সাধারণ মানুষ যেখানে অর্থবিত্তের মাঝে পড়লে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন সেখানে ধনীরা মোটেও তা হন না। তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকেন এবং আরও অর্থবিত্ত উপার্জনের চিন্তা করেন।
১৪. মজার চেয়ে শিক্ষা নিতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা
বিভিন্ন ঘটনা থেকে আনন্দ নিতেই আগ্রহী থাকেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ধনী মানুষেরা এ ধারার কিছুটা বাইরে। তাদের অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেননি। কিন্তু নানা ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষা নিতে তারা সব সময় প্রস্তুত থাকেন।
১৫. তারা আশপাশে প্রিয় মানুষদের রাখেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই মনে করেন, ধনীরা নিচুদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা হয় না। অধিকাংশ সময় ধনী মানুষেরা আশপাশে তাদের প্রিয় মানুষদের রাখেন। অন্য সবধরনের মানুষকেই তারা কিছুটা দূরে রাখেন।
১৬. ধনীরা আয়ের দিকে মনযোগ দেন
দেখা গেছে, অধিকাংশ সাধারণ মানুষই সঞ্চয়ের মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা তাদের আয়ের দিকে বেশি মনযোগী হন। ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে কতোটা লাভবান হতে পারলেন, এ বিষয়টিতেই থাকে তাদের মনযোগ।
১৭. ধনীরা জানেন কখন ঝুঁকি নিতে হবে
সাধারণ মানুষ অর্থ নিয়ে নিরাপদ থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু ধনীরা এ বিষয়টিতে অনেক দক্ষ হন। তারা জানেন কখন অর্থ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে হবে।
১৮. অনিশ্চয়তায় আনন্দ
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই নিশ্চয়তাপূর্ণ জীবনে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা অনিশ্চয়তার মাঝে আনন্দ খুঁজে পান। তারা ঝুঁকি নেন এবং তা থেকে লাভ তুলে নেয়ার মাঝে আনন্দ লাভ করেন।
১৯. তারা জানেন, সবকিছু থাকা সম্ভব
সাধারণ মানুষ সব সময়েই বিশ্বাস করেন, তাদের বিভিন্ন অপশন থেকে একটি করে বেছে নিতে হবে। কিন্তু ধনীরা এ ধারার বাইরে। তাদের মাথায় থাকে যে, তার পক্ষে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।

জেনে নিন ধনীদের ১৯ টি দিক যা সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক !

কোন কোন বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে ধনী মানুষদের, এ প্রশ্ন ভাবায় বহু মানুষকে। জানা যায়, ধনী মানুষেরা বহু বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্নভাবে দেখেন। এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার কারণেই তাদের অনেকে ধনী হয়ে ওঠেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে
সাধারণ মানুষ যেখানে বিশ্বাস করেন, ‘অর্থই সকল অনর্থের মূল’। সেখানে ধনী মানুষেরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখেন। তারা বিশ্বাস করেন, দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে রয়েছে। আর এ কারণেই তারা এ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। তাদের অনেকেই অবশ্য জানেন যে, অর্থ কারো সুখ আনতে পারে না, তারে পরেও এটি জীবনকে সহজ ও উপভোগ্য করতে সাহায্য করে।
২. স্বার্থপরতা একটা মহৎ গুণ
বহু মানুষ স্বার্থপরতাকে একটি বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা সে বিষয়টিতে কোনো দোষ খুঁজে পান না। তারা নিজেদের সুখী হিসেবেই দেখতে চান এবং বিশ্বকে রক্ষার কোনো উদ্দেশ্য তাদের থাকে না। এ কারণে মধ্যবিত্তরা স্বার্থপরতাকে বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা মহৎ একটি গুণ হিসেবেই বিবেচনা করেন।
৩. ধনীদের আগ্রাসী মনোভাব থাকে
সাধারণ বহু মানুষের মানসিকতা লটারির ওপর নির্ভর করে। তবে ধনীরা কখনোই এর সঙ্গে একমত হন না। তারা তার বদলে নিজের পরিশ্রমের ওপরই নির্ভরশীল।
৪. নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানার্জনে বিশ্বাস করেন তারা
অধিকাংশ মানুষই যেখানে বিশ্বাস করেন প্রাতিষ্ঠানিক সাধারণ শিক্ষা তাদের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বহু ধনী ব্যক্তিই এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকেন। তারা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী থাকেন।
ধনীদের যে ১৯টি বিশ্বাস অন্যদের তুলনায় ভিন্ন
৫. ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন তারা
সাধারণ বহু মানুষ অতীত নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তারা মনে করেন অতীতে আমরা অনেক ভালো সময় কাটাতাম। এ ধরনের অতীতমুখী মানুষ সাধারণত ধনী হয় না। তার বদলে যারা ভবিষ্যতের চিন্তায় বিভোর থাকেন, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে এবং ধনী হতে সক্ষম হন।
৬. টাকা-পয়সার বিষয় যুক্তির সঙ্গে দেখেন
অধিকাংশ মানুষ টাকা-পয়সার বিষয়টি দেখেন আবেগের সঙ্গে। কিন্তু সফল ও ধনী মানুষেরা এসব দিক দেখেন যুক্তির সঙ্গে।
৭. আগ্রহের বিষয়ে কাজ করেন তারা
বহু মানুষই নিজের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা এসব অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন না। তারা নিজের আগ্রহের বিষয় নির্ণয় করে শুধু তাই নিয়েই মেতে থাকেন এবং সফলতা লাভ করেন।
৮. তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন
সাধারণ মানুষ যেখানে কম মাত্রায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং সে অনুযায়ী জীবনধারণ করেন। মনোবিদরাও এ বিষয়টি সমর্থন করেন। এতে মানুষের হতাশা কম হয়। কিন্তু ধনীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং তাতে বিজয়ী হতে ক্রমাগত চেষ্টা করেন।
৯. ধনী হওয়ার জন্য আপনার কিছু একটা হতে হবে
অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করেন ধনী হওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু একটা কাজ করতে হবে। কিন্তু ধনী মানুষেরা কোনো একটা কাজের ওপর নির্ভর করেন না। তারা বিশ্বাস করেন, ধনী হওয়ার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালাতে হবে।
১০. ধনীরা অন্যদের অর্থ ব্যবহার করেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করেন, আপনার কিছু টাকা থাকতে হবে টাকা বানানোর জন্য। তবে ধনীরা এ ধারণায় বিশ্বাসী নন। তাদের নিজেদের পকেটে টাকা না থাকলেও তারা অন্য মানুষের টাকা ব্যবহার করে ধনী হতে পিছপা হন না।
১১. ধনীরা জানেন, বাজার চলে আবেগের ওপর
সাধারণ বহু মানুষই বিশ্বাস করেন তারা যুক্তি ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে চলেন। কিন্তু ধনীরা জানেন, বাজারের ক্রেতারা আবেগ ও লোভের বশে চলে। মানুষের স্বাভাবিক এ ধর্মটির বিষয়ে ধনীরা অবহিত থাকেন।
১২. সন্তানকে ধনী হওয়া শেখান তারা
অধিকাংশ মানুষ তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেন, কীভাবে টিকে থাকতে হয়। কিন্তু ধনী বাবা-মা তাদের সন্তানশে শেখান কীভাবে আরও ধন-সম্পদ অর্জন করা যায়।
১৩. ধন-সম্পদের কারণে বিচলিত হন না তারা
সাধারণ মানুষ যেখানে অর্থবিত্তের মাঝে পড়লে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন সেখানে ধনীরা মোটেও তা হন না। তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকেন এবং আরও অর্থবিত্ত উপার্জনের চিন্তা করেন।
১৪. মজার চেয়ে শিক্ষা নিতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা
বিভিন্ন ঘটনা থেকে আনন্দ নিতেই আগ্রহী থাকেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ধনী মানুষেরা এ ধারার কিছুটা বাইরে। তাদের অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেননি। কিন্তু নানা ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষা নিতে তারা সব সময় প্রস্তুত থাকেন।
১৫. তারা আশপাশে প্রিয় মানুষদের রাখেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই মনে করেন, ধনীরা নিচুদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা হয় না। অধিকাংশ সময় ধনী মানুষেরা আশপাশে তাদের প্রিয় মানুষদের রাখেন। অন্য সবধরনের মানুষকেই তারা কিছুটা দূরে রাখেন।
১৬. ধনীরা আয়ের দিকে মনযোগ দেন
দেখা গেছে, অধিকাংশ সাধারণ মানুষই সঞ্চয়ের মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা তাদের আয়ের দিকে বেশি মনযোগী হন। ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে কতোটা লাভবান হতে পারলেন, এ বিষয়টিতেই থাকে তাদের মনযোগ।
১৭. ধনীরা জানেন কখন ঝুঁকি নিতে হবে
সাধারণ মানুষ অর্থ নিয়ে নিরাপদ থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু ধনীরা এ বিষয়টিতে অনেক দক্ষ হন। তারা জানেন কখন অর্থ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে হবে।
১৮. অনিশ্চয়তায় আনন্দ
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই নিশ্চয়তাপূর্ণ জীবনে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা অনিশ্চয়তার মাঝে আনন্দ খুঁজে পান। তারা ঝুঁকি নেন এবং তা থেকে লাভ তুলে নেয়ার মাঝে আনন্দ লাভ করেন।
১৯. তারা জানেন, সবকিছু থাকা সম্ভব
সাধারণ মানুষ সব সময়েই বিশ্বাস করেন, তাদের বিভিন্ন অপশন থেকে একটি করে বেছে নিতে হবে। কিন্তু ধনীরা এ ধারার বাইরে। তাদের মাথায় থাকে যে, তার পক্ষে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।

চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে

চীনের বিশাল ভূখণ্ডের বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং খাদ্য ভোগ করছে এর বিশাল জনগোষ্ঠী। এই দেশে বিলিওনিয়ারদের সংখ্যাও অনেক। এই দেশটি নিয়ে গবেষণা করলে দারুণ কিছু তথ্য পাবেন যা বিস্ময়ের সীমা ছাড়িয়ে যাবে। এখানে চীন নিয়ে এমনই ১৬টি বিস্ময়কর তথ্য জানুন।
১. চপস্টিকের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর কাটা হয় ২০ মিলিয়ন গাছ। এই দেশে প্রতি বছর ৮০ বিলিয়ন জোড়া ডিসপজেবল চপস্টিক ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। চপস্টিক দিয়ে টাইনানমেন স্কয়ারকে ২৬০ বার ঢেকে ফেলা যাবে। যে গাছগুলো কাটা হয় সেগুলো ২০ বছরের পুরনো।
image_92010_0.china rail২. চীনের রেললাইন পৃথিবীটাকে দুইবার ঘুরে আসতে পারবে।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
চালু রয়েছে এমন রেললাইনের দৈর্ঘ্য ৯৩ হাজার কিলোমিটার।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
৩. চীনে যে পরিমাণ কয়লার মজুদ রয়েছে তা ৫৭৫ মিলিয়ন নীল তিমির ওজনের সমান। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ কয়লা চীনেই রয়েছে যার পরিমাণ ১১৫ বিলিয়ন টন। বিশ্বের ৪৫ শতাংশ কয়লা চীনে উত্তোলন করা হয় এবং ৪৯ শতাংশ কয়লা ব্যবহার করা হয়।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
৪. মাত্র দুই বছর সময়ের ব্যবধানে চীনে যে পরিমাণ সিমেন্ট উৎপাদন করা হয়, তা বিশ শতকে আমেরিকা যা উৎপাদন করেছিল তার চেয়েও বেশি। বিশ্বের চাহিদার ৬০ শতাংশ সিমেন্ট চীনে উৎপাদিত এবং ব্যবহৃত হয়।
৫. প্রতিবছর ১০ লাখ চাইনিজ ধূমপানে মারা যান। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এক হিসেবে দেখা যায়, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর তিন মিলিয়ন মানুষ মারা যাবেন।
৬. অলিম্পিকের সুইমিং পুলের সমান ১.২৪ বিলিয়ন সুইমিং পুলের সমান প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে চীনে। এর পরিমাণ ১০৯.৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট।
৭. চীনে বছরে যে পরিমাণ নুডলস খাওয়া হয়, তা দিয়ে আলজেরিয়ার সব মানুষকে গোটা এক বছর ধরে প্রতিদিন তিনবেলা খাওয়ানো যাবে। ২০১১ সালে ৪২.৫ বিলিয়ন প্যাকেট নুডলস খাওয়া হয়।
৮. প্রতি বছর চীনে পাঁচ হাজার ২০০টি আইফেল টাওয়ারের ওজনের সমান শূকরের মাংস খাওয়া হয়। ২০১২ সালে ৫২ মিলিয়ন টন এবং ২০১১ সালে ৫১.৬ মিলিয়ন টন শূকরের মাংস খাওয়া হয়েছিল।
৯. চীনের সেরা ২০ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ হাঙ্গেরির জিডিপির চেয়েও বেশি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪৫.১ বিলিয়ন ডলার। হাঙ্গেরির মোট জিডিপি ১২৪ বিলিয়ন ডলার।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
১০. চীনে ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষ গুহায় বাস করে যা সৌদি আরবের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। সানজি প্রদেশে বেশিরভাগ গুহাবাসী রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট জি শিনপিং সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় সানজিতে নির্বাসিত থাকা অবস্থায় গুহায় বাস করতেন।
১১. চীনের দাতাং ডিস্ট্রিক্টে প্রতি বছর আট বিলিয়ন জোড়া মোজা তৈরি হয়। ২০১১ সালে যে পরিমাণ মোজা তৈরি হয় তা দিয়ে গোটা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে এক জোড়া করে মোজা দেওয়া যাবে।
১২. চীনে আত্মহত্যার হার আমেরিকার দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি। চীনের প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার হার ২২.২।
১৩. চীনের আকার প্রায় আমেরিকা মহাদেশের সমান, অথচ একটি টাইম জোন রয়েছে। বেইজিং স্ট্যান্ডার্ড টাইম জোন গোটা চীনের টাইম জোন। তবে চীনে পাঁচটি টাইম জোন থাকলেও ১৯৪৯ সালে মাও সেতুং একটি টাইম জোনের ঘোষণা করেন। ফলে চীনের অনেক স্থানেই বেলা ১০টায় সূর্য ওঠে।
১৪. চীনের খাবার পদ্ধতি বিশ্বের ২৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে খাবার খাওয়ায়। আর এ জন্য চীনের মাত্র ৭ শতাংশ আবাদী জমি ব্যবহার করতে হবে। ১৯৭৮ সাল থেকে এই খাদ্য উৎপাদন তিন গুণ বেড়েছে।
১৫. চীনের জনগণের খরচ ২০২০ সাল থেকে তিন গুণ বেড়ে যাবে। ২০১০ সালে এর পরিমাণ ছিল ২.০৩ ট্রিলিয়ন ডলার। বিলাস পণ্য ভোগের সবচেয়ে বড় বাজারের মধ্যে চীন রয়েছে এক নম্বরে।
১৬. পৃথিবীর অর্ধেক শূকর রয়েছে চীনে। এর সংখ্যা ৪৭৫ মিলিয়নের মতো। কারণ এ দেশেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ শূকর খাওয়া হয়।

Tuesday, June 3, 2014

ফায়ার সার্ভিস নয়, আগুন নেভাতে আসছে বোমা!

0 


বাড়িঘরে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস ডাকতে হয়। জঙ্গলে দাবানল দেখা দিলে বিমান থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে। তাতে সে রকম কাজ হচ্ছে না বলে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা এবার বিস্ফোরক ব্যবহারের কথা ভাবছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বুশফায়ার বা দাবানল কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, টেলিভিশনের পর্দায় প্রায়ই আমরা সেটা দেখতে পাই। এই রোষের মুখে মানুষকে বড় অসহায় লাগে। আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করা অথবা দাবানলের পথে গাছ কেটে আগুন রোখার চেষ্টা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। বিমান থেকে বিশেষ তরল মিশ্রণ ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টাও সব সময় সফল হয় না। তাহলে কি প্রকৃতির রোষের মুখে মানুষ নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকবে?
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা এক অভিনব উপায়ে বুশফায়ার মোকাবিলার উদ্যোগ নিচ্ছেন। মোমবাতির শিখা নেভাতে যেমন ফু দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতিতেই বিস্ফোরক থেকে শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে আগুন নেভাতে চান তাঁরা। বিষয়টা একেবারে নতুন নয়। তেলের কূপে আগুন ধরলে বিস্ফোরক ব্যবহার করে তা নেভানোর চেষ্টা চলছে অনেক কাল ধরেই। সিডনি শহরে নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাহ্যাম ডইগ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন। একটি পরীক্ষায় তিনি চার মিটারের একটি ইস্পাতের নলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শকওয়েভ সৃষ্টি করেছিলেন। নল থেকে যে বাতাস বেরিয়ে এসেছিল, তা প্রায় ১ মিটার উঁচু আগুনের শিখার ওপর ধরা হয়। আগুনের শিখার উৎস ছিল একটি প্রপেন বার্নার। বিস্ফোরণের শকওয়েভ এর ধাক্কায় শিখাটি তার উৎস থেকে ছিটকে যায়। দেখা গেল, জ্বালানি থেকে বিচ্ছিন্ন হলেই আগুন নিভে যায়। কিন্তু তার জন্য চাই বিশাল পরিমাণ কমপ্রেসড এয়ার বা ঘনীভূত বাতাস।
ফায়ার সার্ভিস নয়, আগুন নেভাতে আসছে বোমা!

সহজেই এমন কমপ্রেসড এয়ার তৈরি করতে নাইট্রোগ্লিসারিনের মতো বিস্ফোরক কাজে লাগানো যেতে পারে। ডইগ মনে করেন, ভবিষ্যতে হেলিকপ্টার থেকে এমন বিস্ফোরক আগুনের ওপর ফেলে দেওয়া যাবে। তবে শুধু তাতেই কাজ হবে না। এক সার্বিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগাতে হবে। তা ছাড়া ব্যাপক আকারে বুশফায়ার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে এই বিস্ফোরক আগুনের প্রসার সাময়িকভাবে বন্ধ করতে পারবে, যাতে উদ্ধারকার্য শেষ করা যায়।
বাস্তবে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগাতে গ্র্যাহ্যাম ডইগ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে কাজ করার কথা ভাবছেন। কোন কোন অবস্থায় এটা সবচেয়ে ভালো কাজে লাগতে পারে, তা জানতে চান তিনি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যদি কোনো আগুন একেবারে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে এখনই বিস্ফোরক কাজে লাগানোর ইচ্ছাও আছে তাঁর। অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে আগুন নেভাতে না পারলেও এই প্রযুক্তির প্রয়োগের বিষয়ে আরও জ্ঞান অর্জন করতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

চুরি করতে গিয়ে মন চুরি!

0 


গল্পের বই ঘাঁটলে চোরেদের বিভিন্নরকম চুরির ঘটনার কথা জানতে পারা যায়। কখনও তাঁরা চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, তো কখনও চুরি করেও সমস্ত জিনিস গৃহকত্রীর হাতে তুলে দেয়। কিন্তু, সেগুলি গল্পের কথা। বাস্তব জীবনেও চোরের ভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। আর বলাই বাহুল্য, জেন ওয়াইয়ের চোর। একটা ফেসবুক ‘এফেক্ট’ তো থাকবেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরকমই এক অদ্ভুত চোরকে খুঁজে পাওয়া গেল। যে চুরির পর ফেসবুকে পাঠায় ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। আর যাঁর থেকে জিনিস চুরি করেছে এবং বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা চালান তিনি একজন নারী। চুরি করলেও তাঁকে মনে ধরেছিল চোরের।  হয়ত তাই একদিন পরই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। চুরির অভিযোগে গত শুক্রবার কিটস্যাপ জেলা আদালতে অভিযুক্ত রিলে অ্যালেন মুলিনসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার ব্রামারটন ফেরি টার্মিনালে কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনছিলেন। হঠাৎই মাথায় আঘাত করেন চোর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর আইপড এবং পার্স চলে সরিয়ে নেয় চোর। কোনও রকমে মাথা ঘুরিয়ে দেখতে পেলেন ঘাড়ে চোর জিনিসগুলি নিয়ে ছুটে পালাচ্ছে।  আর লক্ষ্য করতে পারলেন তার ঘাড়ে রয়েছে একটি ট্রায়াঙ্গেল ট্যাটু। ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।  কিন্তু, উল্লেখযোগ্যভাবে ঠিক তার পরের দিন ওই তরুণীর ফেসবুকে আসে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। আর তার ছবি দেখতে গিয়েই বোঝা যায় গতকালকের চোরই হলো এই নতুন বন্ধু। ট্যাটুটিই চিনিয়ে দিল তাঁকে। ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যে মুলিনের, তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। জানা গেছে, চোর চুরি করার পর তার তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়।

যে কারণে বাড়িতে থাকা উচিত অন্তত একটি পোষা প্রাণী

মায়ের কাছে আবদার করেছিলেন ছোট্ট একটি বিড়াল পালতে আনবেন ঘরে। ছোট্ট সেই বিড়ালটি পুরো ঘরেই দৌড়ে বেড়াবে, আপনার কোলে টানাটানি করবে খাওয়ার জন্য। এরকম আরো কত্ত স্বপ্ন দেখেছিলেন আপনি। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো যখন আপনার মা আপনার প্রস্তাব নাকচ করে দিলো এক বাক্যে। আর তার কারণো অনেকগুলো। ঘর ময়লা হবে, সময় নষ্ট, অসুখ হবে, খাবারে মুখ দেবে আরো কত কি! মন খারাপ করে মায়ের কথা শোনা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না আপনার।
যে কারণে বাড়িতে থাকা উচিত অন্তত একটি পোষা প্রাণী
অনেকেই গৃহপালিত প্রাণী ঘরে পুষতে চাইলেও নানান ভয়, ঘেন্না, কষ্টের কথা ভেবে সেই পথে পা বাড়ায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন ঘরে একটি পোষা প্রাণী থাকলে আপনার জন্যই সেটা ভালো? জেনে নিন ঘরে পোষা প্রাণী থাকার বেশ কিছু ভালো দিক সম্পর্কে।
১) আপনার যদি বিষন্নতায় ভোগার সমস্যা থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত ঘরে একটি হলেই পোষা প্রাণী রাখা। কারন কুকুর, বিড়াল, মাছ, খরগোশ, পাখি এধরনের প্রাণী গুলো বিষন্নতা কমিয়ে মনকে ফুরফুরে করে দিতে পারে। বিশেষ করে খরগোশ, কুকুর ও বিড়াল এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।
২) আপনি বা আপনার ঘরে কেউ যদি আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে থাকে তাহলে তাকে উপহার দিন খুব আদুরে একটি বিড়াল, কুকুর অথবা খরগোশ। মানুষ যেমন মৃত্যুর আগে সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে, ঠিক একই ভাবে আদরের পোষা প্রাণীটির কথা চিন্তা করলেও মানুষের বেঁচে থাকার ইচ্ছে বেড়ে যায়।
৩) গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আছে তারা কিছুক্ষন পোষা কুকুর, বিড়ালের সাথে খেলাধুলা করলে কিংবা মাছের একুরিয়ামের দিকে তাকিয়ে থাকলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং মানসিক চাপ কমে যায়।
৪) জরিপে দেখা গিয়েছে যাদের পোষা বিড়াল বা কুকুর আছে, অন্যদের তুলনায় তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০% কম এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৩০% কম।
৫) পোষা প্রাণীর সাথে খেলাধুলা ও ছোটাছুটি আপনার অনেকটা ক্যালরী পুড়িয়ে ফেলে এবং ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পৃথিবী জুড়ে স্বর্গীয় সৌন্দর্যে রঙিন ১৫ টি স্থান

আমরা অনেকেই জানি পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে রয়েছে অতুলনীয় সৌন্দর্যের অসাধারণ সব স্থান। কিন্তু অনেকগুলো স্থানের অবস্থান আমাদের কাছে অজানা। আবার আমরা অনেকেই জানি না এই সকল স্থানের আসল সৌন্দর্য কি ধরণের স্বর্গীয় হতে পারে। আসলেই এই প্রিয় পৃথিবীটার অনেক কিছুই আমাদের চোখের আড়ালে রয়ে যায়। নয়ন জুড়িয়ে দেখার সাধ্য অনেকেরই হয়ে উঠে না।
পৃথিবী জুড়ে স্বর্গীয় সৌন্দর্যে রঙিন ১৫ টি স্থান
কিন্তু আফসোস করার কিছুই নেই। পৃথিবীর বুকে এই সকল স্বর্গীয় সৌন্দর্যের স্থানের সন্ধান দিতে এবং এক নজর দেখার সাধ মেটাতে আমরা রয়েছি আপনাদের পাশে। তাই আমাদের আজকের ফিচারে দেখে নিন এমনই অসাধারণ সৌন্দর্যের ১৫ টি স্থান।
(১) কভারে যে ছবিটি দেখছেন এটি কাওয়াচি ফুজি গার্ডেন। এটির অবস্থান কিটাকায়ুসু, জাপান। ল্যাভেন্ডার রঙে ছেয়ে থাকা এই টানেলটি আসলেই স্বপ্নময়। তাই নয় কি?

(২) হলুদ ক্যানোলা ফুলের সমাহারে ছেয়ে গিয়েছে মাইলের পর মাইল জায়গা। এই স্থানটির নাম ক্যানোলা ফ্লাওয়ার ফিল্ড। চীনের ইয়ুন্নানে অবস্থিত এটি।

(৩) অসাধারণ রঙের খেলা লেকের পানিতে। দেখে মনে হয় আকাশের রঙধনু নেমে এসেছে পৃথিবীর বুকে। মর্নিং গ্লোরি নামক এই লেকটি ইয়েলো স্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ইউএসএ।

(৪) আকাশ আর মাটির মিলন মনে হয় একেই বলে। নীল ফুলে ছেয়ে থাকা দিগন্ত বিস্তৃত এই জায়গাটির নাম হিতাচি সিসাইড পার্ক। এর অবস্থান হিতাচিনাকা, ইবারাকি, জাপান।

(৫) প্রথম দেখায় যে কেউ মনে করতে পারেন এটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোনো কাজের খেলা। কিন্তু আসলেই ফ্লাই গেইসার নামক নর্দান নাভাডার এই স্থানটি এতোটা রঙিন।

(৬) সবুজে সুন্দর। সাগানো ব্যাম্বো ফরেস্ট এটি। এর অবস্থান আরাসিয়ামা, জাপান।

(৭) রঙিন পাহাড়ের দেশে। সাউথ ওয়েস্ট চীনের অসাধারণ একটি স্থান ঝাংইয়েই ডানজিয়া।

(৮) গোলাপি রঙের স্থানটি দেখে যে কেউ অন্য কিছু ভাবতে পারেন। কিন্তু আসলে এটি একটি লেক। লেক হিলার মিডেল আইসল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত।

(৯) ইতালির ভেনিস শহরের বুরানো স্থানটির মতো রঙিন বাড়িঘর পুরো পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মনে হয় আসলেই দুষ্কর।

(১০) স্বর্গের জলধারা বলা হয় এই হাভাসু ফলসকে। এটি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, অ্যারিজোনায় অবস্থিত।

(১১) পাথরের কারুকাজ। দেখে মনে হয় কেউ মনের মাধুরি মিশিয়ে অনেক সময় নিয়ে কাজ করেছেন এই অ্যান্টেলোপ ক্যানিয়নে। কিন্তু পুরোপুরি প্রাকৃতিক অ্যারিজোনার এই ক্যানিয়নটি।

(১২) পুরো জাপানের আনাচে কানাচেই রয়েছে অনেক অসাধারণ স্থান। এই ডিয়াগো-জি টেম্পলটি তারই প্রমাণ। এটি জাপানের কিয়োতোতে অবস্থিত।

(১৩) বলে না দিলে কারো বিশ্বাসই হবে না লাল রঙে ছেয়ে থাকা এই অসাধারণ স্থানটি একটি সমুদ্র সৈকত। পানজিন রেড বীচের অবস্থান চীনে।

(১৪) প্রায় ২.৫ একর স্থান জুড়ে ফুটে রয়েছে সিবাজাকুরা ফুল। তাকিনোউ পার্কটি সত্যিই স্বর্গের সৌন্দর্যে তৈরি। এর অবস্থান হাক্কাইডো জাপান।

(১৫) স্বর্গ থেকে নেমে আসা এই জলের ধারা যেন পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। নীল রঙের ছড়াছড়ির এই স্থানটির নাম ম্যান্ডেনহল আইস কেইভ। এই গুহাটি জুনেউ, আলস্কায় অবস্থিত।