
বাড়ির সামনে এক টুকরো বাগান বদলে দিতে পারে পুরো পরিবেশটাই। যারা বাগান করেন তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি দৃশ্য শামুকের বিচরণ। অনেক সময় শখের বাগানে লাগানো গাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে এরা।
সাম্প্রতিক গবেষকদের ভাষ্য, আপনার বাগান থেকে ৬৫ ফুট দূরে ফেলে দিলে শামুক আর ফিরে আসবে না।
সাম্প্রতিক গবেষকদের ভাষ্য, আপনার বাগান থেকে ৬৫ ফুট দূরে ফেলে দিলে শামুক আর ফিরে আসবে না।

শামুক খুবই পরিচিত প্রাণী হলেও এদের জীবনধারণ প্রক্রিয়া, স্বভাব সম্পর্কে অজানা রয়েছে অনেক তথ্য।
যেমন, শামুকের জীবনসীমা নির্ভর করে কোনো প্রজাতির এবং কীভাবে জীবনধারণ করছে তার ওপর। কিছু প্রজাতির শামুক রয়েছে যারা মাত্র পাঁচ বছর বাঁচে। তবে সৌভাগ্যবান অনেক প্রজাতির শামুক বাঁচে ২৫ বছর পর্যন্তও।

শামুক কি খাওয়া যায়? শামুক কি বিষাক্ত?
অনেকেই ধারণা করেন, শামুক মানুষের খাওয়ার যোগ্য নয়। তবে আধুনিক গবেষকরা বলছেন, পাকস্থলিতে আলসারের চিকিৎসায় শামুক ব্যবহার করা যেতে পারে। স্থলভাগের শামুক বিষাক্ত না হলেও সামুদ্রিক প্রজাতির শামুক সাধারণত বিষাক্ত হয়। আশ্চর্য মনে হলেও সামুদ্রিক প্রজাতির শামুক ঠিকমতো রান্না করা না হলে তা মানুষের মৃত্যুরও কারণ হতে পারে!
যদিও শামুকের ‘পৃথিবীর সব চেয়ে কম গতির প্রাণী’ হিসেবে বদনাম রয়েছে। কিন্তু স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় এরা এক সেকেন্ডে প্রায় ১.৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

শামুক কি চোখে দেখে?
শমুককে প্রায় অন্ধ বললেই চলে। একইসঙ্গে পৃথিবীর শব্দ শোনার ক্ষমতাও নেই এদের। তবে তাদের এক অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে গন্ধ নেওয়ার।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় যে, অনেকেই ধারণা করেন, শামুকের দাঁত নেই। কিন্তু দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যেতে হলে শামুকদের নির্ঘাত অনেক টাকা গুণতে হতো! কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, যে প্রজাতির শামুক বাগানে বসবাস করে তাদের মুখে গড়ে ১৪ হাজারের বেশি দাঁত থাকে!
No comments:
Post a Comment