Wednesday, June 4, 2014

জেনে নিন ধনীদের ১৯ টি দিক যা সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক !

কোন কোন বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে ধনী মানুষদের, এ প্রশ্ন ভাবায় বহু মানুষকে। জানা যায়, ধনী মানুষেরা বহু বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্নভাবে দেখেন। এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার কারণেই তাদের অনেকে ধনী হয়ে ওঠেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে
সাধারণ মানুষ যেখানে বিশ্বাস করেন, ‘অর্থই সকল অনর্থের মূল’। সেখানে ধনী মানুষেরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখেন। তারা বিশ্বাস করেন, দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে রয়েছে। আর এ কারণেই তারা এ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। তাদের অনেকেই অবশ্য জানেন যে, অর্থ কারো সুখ আনতে পারে না, তারে পরেও এটি জীবনকে সহজ ও উপভোগ্য করতে সাহায্য করে।
২. স্বার্থপরতা একটা মহৎ গুণ
বহু মানুষ স্বার্থপরতাকে একটি বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা সে বিষয়টিতে কোনো দোষ খুঁজে পান না। তারা নিজেদের সুখী হিসেবেই দেখতে চান এবং বিশ্বকে রক্ষার কোনো উদ্দেশ্য তাদের থাকে না। এ কারণে মধ্যবিত্তরা স্বার্থপরতাকে বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা মহৎ একটি গুণ হিসেবেই বিবেচনা করেন।
৩. ধনীদের আগ্রাসী মনোভাব থাকে
সাধারণ বহু মানুষের মানসিকতা লটারির ওপর নির্ভর করে। তবে ধনীরা কখনোই এর সঙ্গে একমত হন না। তারা তার বদলে নিজের পরিশ্রমের ওপরই নির্ভরশীল।
৪. নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানার্জনে বিশ্বাস করেন তারা
অধিকাংশ মানুষই যেখানে বিশ্বাস করেন প্রাতিষ্ঠানিক সাধারণ শিক্ষা তাদের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বহু ধনী ব্যক্তিই এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকেন। তারা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী থাকেন।
ধনীদের যে ১৯টি বিশ্বাস অন্যদের তুলনায় ভিন্ন
৫. ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন তারা
সাধারণ বহু মানুষ অতীত নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তারা মনে করেন অতীতে আমরা অনেক ভালো সময় কাটাতাম। এ ধরনের অতীতমুখী মানুষ সাধারণত ধনী হয় না। তার বদলে যারা ভবিষ্যতের চিন্তায় বিভোর থাকেন, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে এবং ধনী হতে সক্ষম হন।
৬. টাকা-পয়সার বিষয় যুক্তির সঙ্গে দেখেন
অধিকাংশ মানুষ টাকা-পয়সার বিষয়টি দেখেন আবেগের সঙ্গে। কিন্তু সফল ও ধনী মানুষেরা এসব দিক দেখেন যুক্তির সঙ্গে।
৭. আগ্রহের বিষয়ে কাজ করেন তারা
বহু মানুষই নিজের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা এসব অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন না। তারা নিজের আগ্রহের বিষয় নির্ণয় করে শুধু তাই নিয়েই মেতে থাকেন এবং সফলতা লাভ করেন।
৮. তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন
সাধারণ মানুষ যেখানে কম মাত্রায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং সে অনুযায়ী জীবনধারণ করেন। মনোবিদরাও এ বিষয়টি সমর্থন করেন। এতে মানুষের হতাশা কম হয়। কিন্তু ধনীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং তাতে বিজয়ী হতে ক্রমাগত চেষ্টা করেন।
৯. ধনী হওয়ার জন্য আপনার কিছু একটা হতে হবে
অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করেন ধনী হওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু একটা কাজ করতে হবে। কিন্তু ধনী মানুষেরা কোনো একটা কাজের ওপর নির্ভর করেন না। তারা বিশ্বাস করেন, ধনী হওয়ার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালাতে হবে।
১০. ধনীরা অন্যদের অর্থ ব্যবহার করেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করেন, আপনার কিছু টাকা থাকতে হবে টাকা বানানোর জন্য। তবে ধনীরা এ ধারণায় বিশ্বাসী নন। তাদের নিজেদের পকেটে টাকা না থাকলেও তারা অন্য মানুষের টাকা ব্যবহার করে ধনী হতে পিছপা হন না।
১১. ধনীরা জানেন, বাজার চলে আবেগের ওপর
সাধারণ বহু মানুষই বিশ্বাস করেন তারা যুক্তি ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে চলেন। কিন্তু ধনীরা জানেন, বাজারের ক্রেতারা আবেগ ও লোভের বশে চলে। মানুষের স্বাভাবিক এ ধর্মটির বিষয়ে ধনীরা অবহিত থাকেন।
১২. সন্তানকে ধনী হওয়া শেখান তারা
অধিকাংশ মানুষ তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেন, কীভাবে টিকে থাকতে হয়। কিন্তু ধনী বাবা-মা তাদের সন্তানশে শেখান কীভাবে আরও ধন-সম্পদ অর্জন করা যায়।
১৩. ধন-সম্পদের কারণে বিচলিত হন না তারা
সাধারণ মানুষ যেখানে অর্থবিত্তের মাঝে পড়লে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন সেখানে ধনীরা মোটেও তা হন না। তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকেন এবং আরও অর্থবিত্ত উপার্জনের চিন্তা করেন।
১৪. মজার চেয়ে শিক্ষা নিতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা
বিভিন্ন ঘটনা থেকে আনন্দ নিতেই আগ্রহী থাকেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ধনী মানুষেরা এ ধারার কিছুটা বাইরে। তাদের অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেননি। কিন্তু নানা ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষা নিতে তারা সব সময় প্রস্তুত থাকেন।
১৫. তারা আশপাশে প্রিয় মানুষদের রাখেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই মনে করেন, ধনীরা নিচুদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা হয় না। অধিকাংশ সময় ধনী মানুষেরা আশপাশে তাদের প্রিয় মানুষদের রাখেন। অন্য সবধরনের মানুষকেই তারা কিছুটা দূরে রাখেন।
১৬. ধনীরা আয়ের দিকে মনযোগ দেন
দেখা গেছে, অধিকাংশ সাধারণ মানুষই সঞ্চয়ের মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা তাদের আয়ের দিকে বেশি মনযোগী হন। ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে কতোটা লাভবান হতে পারলেন, এ বিষয়টিতেই থাকে তাদের মনযোগ।
১৭. ধনীরা জানেন কখন ঝুঁকি নিতে হবে
সাধারণ মানুষ অর্থ নিয়ে নিরাপদ থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু ধনীরা এ বিষয়টিতে অনেক দক্ষ হন। তারা জানেন কখন অর্থ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে হবে।
১৮. অনিশ্চয়তায় আনন্দ
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই নিশ্চয়তাপূর্ণ জীবনে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা অনিশ্চয়তার মাঝে আনন্দ খুঁজে পান। তারা ঝুঁকি নেন এবং তা থেকে লাভ তুলে নেয়ার মাঝে আনন্দ লাভ করেন।
১৯. তারা জানেন, সবকিছু থাকা সম্ভব
সাধারণ মানুষ সব সময়েই বিশ্বাস করেন, তাদের বিভিন্ন অপশন থেকে একটি করে বেছে নিতে হবে। কিন্তু ধনীরা এ ধারার বাইরে। তাদের মাথায় থাকে যে, তার পক্ষে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।

জেনে নিন ধনীদের ১৯ টি দিক যা সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক !

কোন কোন বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে ধনী মানুষদের, এ প্রশ্ন ভাবায় বহু মানুষকে। জানা যায়, ধনী মানুষেরা বহু বিষয় সাধারণ মানুষ থেকে ভিন্নভাবে দেখেন। এসব বিষয় ভিন্নভাবে দেখার কারণেই তাদের অনেকে ধনী হয়ে ওঠেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
১. দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে
সাধারণ মানুষ যেখানে বিশ্বাস করেন, ‘অর্থই সকল অনর্থের মূল’। সেখানে ধনী মানুষেরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখেন। তারা বিশ্বাস করেন, দারিদ্র্যতা সব সমস্যার মূলে রয়েছে। আর এ কারণেই তারা এ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করেন। তাদের অনেকেই অবশ্য জানেন যে, অর্থ কারো সুখ আনতে পারে না, তারে পরেও এটি জীবনকে সহজ ও উপভোগ্য করতে সাহায্য করে।
২. স্বার্থপরতা একটা মহৎ গুণ
বহু মানুষ স্বার্থপরতাকে একটি বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা সে বিষয়টিতে কোনো দোষ খুঁজে পান না। তারা নিজেদের সুখী হিসেবেই দেখতে চান এবং বিশ্বকে রক্ষার কোনো উদ্দেশ্য তাদের থাকে না। এ কারণে মধ্যবিত্তরা স্বার্থপরতাকে বদগুণ বলে মনে করলেও ধনীরা মহৎ একটি গুণ হিসেবেই বিবেচনা করেন।
৩. ধনীদের আগ্রাসী মনোভাব থাকে
সাধারণ বহু মানুষের মানসিকতা লটারির ওপর নির্ভর করে। তবে ধনীরা কখনোই এর সঙ্গে একমত হন না। তারা তার বদলে নিজের পরিশ্রমের ওপরই নির্ভরশীল।
৪. নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানার্জনে বিশ্বাস করেন তারা
অধিকাংশ মানুষই যেখানে বিশ্বাস করেন প্রাতিষ্ঠানিক সাধারণ শিক্ষা তাদের উন্নতি ঘটায়। কিন্তু বহু ধনী ব্যক্তিই এ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থাকেন। তারা তাদের নির্দিষ্ট বিষয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী থাকেন।
ধনীদের যে ১৯টি বিশ্বাস অন্যদের তুলনায় ভিন্ন
৫. ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন তারা
সাধারণ বহু মানুষ অতীত নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তারা মনে করেন অতীতে আমরা অনেক ভালো সময় কাটাতাম। এ ধরনের অতীতমুখী মানুষ সাধারণত ধনী হয় না। তার বদলে যারা ভবিষ্যতের চিন্তায় বিভোর থাকেন, তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে এবং ধনী হতে সক্ষম হন।
৬. টাকা-পয়সার বিষয় যুক্তির সঙ্গে দেখেন
অধিকাংশ মানুষ টাকা-পয়সার বিষয়টি দেখেন আবেগের সঙ্গে। কিন্তু সফল ও ধনী মানুষেরা এসব দিক দেখেন যুক্তির সঙ্গে।
৭. আগ্রহের বিষয়ে কাজ করেন তারা
বহু মানুষই নিজের জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা এসব অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কাজ করেন না। তারা নিজের আগ্রহের বিষয় নির্ণয় করে শুধু তাই নিয়েই মেতে থাকেন এবং সফলতা লাভ করেন।
৮. তারা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন
সাধারণ মানুষ যেখানে কম মাত্রায় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং সে অনুযায়ী জীবনধারণ করেন। মনোবিদরাও এ বিষয়টি সমর্থন করেন। এতে মানুষের হতাশা কম হয়। কিন্তু ধনীরা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তারা বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন এবং তাতে বিজয়ী হতে ক্রমাগত চেষ্টা করেন।
৯. ধনী হওয়ার জন্য আপনার কিছু একটা হতে হবে
অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করেন ধনী হওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু একটা কাজ করতে হবে। কিন্তু ধনী মানুষেরা কোনো একটা কাজের ওপর নির্ভর করেন না। তারা বিশ্বাস করেন, ধনী হওয়ার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালাতে হবে।
১০. ধনীরা অন্যদের অর্থ ব্যবহার করেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই বিশ্বাস করেন, আপনার কিছু টাকা থাকতে হবে টাকা বানানোর জন্য। তবে ধনীরা এ ধারণায় বিশ্বাসী নন। তাদের নিজেদের পকেটে টাকা না থাকলেও তারা অন্য মানুষের টাকা ব্যবহার করে ধনী হতে পিছপা হন না।
১১. ধনীরা জানেন, বাজার চলে আবেগের ওপর
সাধারণ বহু মানুষই বিশ্বাস করেন তারা যুক্তি ও পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে চলেন। কিন্তু ধনীরা জানেন, বাজারের ক্রেতারা আবেগ ও লোভের বশে চলে। মানুষের স্বাভাবিক এ ধর্মটির বিষয়ে ধনীরা অবহিত থাকেন।
১২. সন্তানকে ধনী হওয়া শেখান তারা
অধিকাংশ মানুষ তাদের সন্তানকে শিক্ষা দেন, কীভাবে টিকে থাকতে হয়। কিন্তু ধনী বাবা-মা তাদের সন্তানশে শেখান কীভাবে আরও ধন-সম্পদ অর্জন করা যায়।
১৩. ধন-সম্পদের কারণে বিচলিত হন না তারা
সাধারণ মানুষ যেখানে অর্থবিত্তের মাঝে পড়লে মানসিক চাপের মধ্যে পড়েন সেখানে ধনীরা মোটেও তা হন না। তারা মানসিকভাবে শান্ত থাকেন এবং আরও অর্থবিত্ত উপার্জনের চিন্তা করেন।
১৪. মজার চেয়ে শিক্ষা নিতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন তারা
বিভিন্ন ঘটনা থেকে আনন্দ নিতেই আগ্রহী থাকেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু ধনী মানুষেরা এ ধারার কিছুটা বাইরে। তাদের অনেকেই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেননি। কিন্তু নানা ঘটনার মাধ্যমে শিক্ষা নিতে তারা সব সময় প্রস্তুত থাকেন।
১৫. তারা আশপাশে প্রিয় মানুষদের রাখেন
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই মনে করেন, ধনীরা নিচুদের অবজ্ঞার চোখে দেখেন। কিন্তু বাস্তবে সবক্ষেত্রে তা হয় না। অধিকাংশ সময় ধনী মানুষেরা আশপাশে তাদের প্রিয় মানুষদের রাখেন। অন্য সবধরনের মানুষকেই তারা কিছুটা দূরে রাখেন।
১৬. ধনীরা আয়ের দিকে মনযোগ দেন
দেখা গেছে, অধিকাংশ সাধারণ মানুষই সঞ্চয়ের মাধ্যমে সম্পদ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা তাদের আয়ের দিকে বেশি মনযোগী হন। ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে কতোটা লাভবান হতে পারলেন, এ বিষয়টিতেই থাকে তাদের মনযোগ।
১৭. ধনীরা জানেন কখন ঝুঁকি নিতে হবে
সাধারণ মানুষ অর্থ নিয়ে নিরাপদ থাকতে পছন্দ করেন। কিন্তু ধনীরা এ বিষয়টিতে অনেক দক্ষ হন। তারা জানেন কখন অর্থ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে হবে।
১৮. অনিশ্চয়তায় আনন্দ
অধিকাংশ সাধারণ মানুষই নিশ্চয়তাপূর্ণ জীবনে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন। কিন্তু ধনী মানুষেরা অনিশ্চয়তার মাঝে আনন্দ খুঁজে পান। তারা ঝুঁকি নেন এবং তা থেকে লাভ তুলে নেয়ার মাঝে আনন্দ লাভ করেন।
১৯. তারা জানেন, সবকিছু থাকা সম্ভব
সাধারণ মানুষ সব সময়েই বিশ্বাস করেন, তাদের বিভিন্ন অপশন থেকে একটি করে বেছে নিতে হবে। কিন্তু ধনীরা এ ধারার বাইরে। তাদের মাথায় থাকে যে, তার পক্ষে সবকিছুই অর্জন করা সম্ভব।

চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে

চীনের বিশাল ভূখণ্ডের বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ এবং খাদ্য ভোগ করছে এর বিশাল জনগোষ্ঠী। এই দেশে বিলিওনিয়ারদের সংখ্যাও অনেক। এই দেশটি নিয়ে গবেষণা করলে দারুণ কিছু তথ্য পাবেন যা বিস্ময়ের সীমা ছাড়িয়ে যাবে। এখানে চীন নিয়ে এমনই ১৬টি বিস্ময়কর তথ্য জানুন।
১. চপস্টিকের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর কাটা হয় ২০ মিলিয়ন গাছ। এই দেশে প্রতি বছর ৮০ বিলিয়ন জোড়া ডিসপজেবল চপস্টিক ফেলে দেওয়া হয়। এগুলো ২০ সেন্টিমিটার লম্বা। চপস্টিক দিয়ে টাইনানমেন স্কয়ারকে ২৬০ বার ঢেকে ফেলা যাবে। যে গাছগুলো কাটা হয় সেগুলো ২০ বছরের পুরনো।
image_92010_0.china rail২. চীনের রেললাইন পৃথিবীটাকে দুইবার ঘুরে আসতে পারবে।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
চালু রয়েছে এমন রেললাইনের দৈর্ঘ্য ৯৩ হাজার কিলোমিটার।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
৩. চীনে যে পরিমাণ কয়লার মজুদ রয়েছে তা ৫৭৫ মিলিয়ন নীল তিমির ওজনের সমান। বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ কয়লা চীনেই রয়েছে যার পরিমাণ ১১৫ বিলিয়ন টন। বিশ্বের ৪৫ শতাংশ কয়লা চীনে উত্তোলন করা হয় এবং ৪৯ শতাংশ কয়লা ব্যবহার করা হয়।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
৪. মাত্র দুই বছর সময়ের ব্যবধানে চীনে যে পরিমাণ সিমেন্ট উৎপাদন করা হয়, তা বিশ শতকে আমেরিকা যা উৎপাদন করেছিল তার চেয়েও বেশি। বিশ্বের চাহিদার ৬০ শতাংশ সিমেন্ট চীনে উৎপাদিত এবং ব্যবহৃত হয়।
৫. প্রতিবছর ১০ লাখ চাইনিজ ধূমপানে মারা যান। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের এক হিসেবে দেখা যায়, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছর তিন মিলিয়ন মানুষ মারা যাবেন।
৬. অলিম্পিকের সুইমিং পুলের সমান ১.২৪ বিলিয়ন সুইমিং পুলের সমান প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে চীনে। এর পরিমাণ ১০৯.৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফুট।
৭. চীনে বছরে যে পরিমাণ নুডলস খাওয়া হয়, তা দিয়ে আলজেরিয়ার সব মানুষকে গোটা এক বছর ধরে প্রতিদিন তিনবেলা খাওয়ানো যাবে। ২০১১ সালে ৪২.৫ বিলিয়ন প্যাকেট নুডলস খাওয়া হয়।
৮. প্রতি বছর চীনে পাঁচ হাজার ২০০টি আইফেল টাওয়ারের ওজনের সমান শূকরের মাংস খাওয়া হয়। ২০১২ সালে ৫২ মিলিয়ন টন এবং ২০১১ সালে ৫১.৬ মিলিয়ন টন শূকরের মাংস খাওয়া হয়েছিল।
৯. চীনের সেরা ২০ ধনী ব্যক্তির মোট সম্পদের পরিমাণ হাঙ্গেরির জিডিপির চেয়েও বেশি। তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৪৫.১ বিলিয়ন ডলার। হাঙ্গেরির মোট জিডিপি ১২৪ বিলিয়ন ডলার।
চীন সম্পর্কে যে ১৬টি তথ্য মাথা ঘুরিয়ে দেবে
১০. চীনে ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষ গুহায় বাস করে যা সৌদি আরবের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। সানজি প্রদেশে বেশিরভাগ গুহাবাসী রয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট জি শিনপিং সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় সানজিতে নির্বাসিত থাকা অবস্থায় গুহায় বাস করতেন।
১১. চীনের দাতাং ডিস্ট্রিক্টে প্রতি বছর আট বিলিয়ন জোড়া মোজা তৈরি হয়। ২০১১ সালে যে পরিমাণ মোজা তৈরি হয় তা দিয়ে গোটা পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে এক জোড়া করে মোজা দেওয়া যাবে।
১২. চীনে আত্মহত্যার হার আমেরিকার দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি। চীনের প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার হার ২২.২।
১৩. চীনের আকার প্রায় আমেরিকা মহাদেশের সমান, অথচ একটি টাইম জোন রয়েছে। বেইজিং স্ট্যান্ডার্ড টাইম জোন গোটা চীনের টাইম জোন। তবে চীনে পাঁচটি টাইম জোন থাকলেও ১৯৪৯ সালে মাও সেতুং একটি টাইম জোনের ঘোষণা করেন। ফলে চীনের অনেক স্থানেই বেলা ১০টায় সূর্য ওঠে।
১৪. চীনের খাবার পদ্ধতি বিশ্বের ২৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে খাবার খাওয়ায়। আর এ জন্য চীনের মাত্র ৭ শতাংশ আবাদী জমি ব্যবহার করতে হবে। ১৯৭৮ সাল থেকে এই খাদ্য উৎপাদন তিন গুণ বেড়েছে।
১৫. চীনের জনগণের খরচ ২০২০ সাল থেকে তিন গুণ বেড়ে যাবে। ২০১০ সালে এর পরিমাণ ছিল ২.০৩ ট্রিলিয়ন ডলার। বিলাস পণ্য ভোগের সবচেয়ে বড় বাজারের মধ্যে চীন রয়েছে এক নম্বরে।
১৬. পৃথিবীর অর্ধেক শূকর রয়েছে চীনে। এর সংখ্যা ৪৭৫ মিলিয়নের মতো। কারণ এ দেশেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ শূকর খাওয়া হয়।

Tuesday, June 3, 2014

ফায়ার সার্ভিস নয়, আগুন নেভাতে আসছে বোমা!

0 


বাড়িঘরে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস ডাকতে হয়। জঙ্গলে দাবানল দেখা দিলে বিমান থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে। তাতে সে রকম কাজ হচ্ছে না বলে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা এবার বিস্ফোরক ব্যবহারের কথা ভাবছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বুশফায়ার বা দাবানল কতটা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে, টেলিভিশনের পর্দায় প্রায়ই আমরা সেটা দেখতে পাই। এই রোষের মুখে মানুষকে বড় অসহায় লাগে। আশপাশের এলাকা থেকে মানুষজনকে উদ্ধার করা অথবা দাবানলের পথে গাছ কেটে আগুন রোখার চেষ্টা করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকে না। বিমান থেকে বিশেষ তরল মিশ্রণ ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টাও সব সময় সফল হয় না। তাহলে কি প্রকৃতির রোষের মুখে মানুষ নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকবে?
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা এক অভিনব উপায়ে বুশফায়ার মোকাবিলার উদ্যোগ নিচ্ছেন। মোমবাতির শিখা নেভাতে যেমন ফু দেওয়া হয়, সেই পদ্ধতিতেই বিস্ফোরক থেকে শব্দ তরঙ্গ সৃষ্টি করে আগুন নেভাতে চান তাঁরা। বিষয়টা একেবারে নতুন নয়। তেলের কূপে আগুন ধরলে বিস্ফোরক ব্যবহার করে তা নেভানোর চেষ্টা চলছে অনেক কাল ধরেই। সিডনি শহরে নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাহ্যাম ডইগ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছেন। একটি পরীক্ষায় তিনি চার মিটারের একটি ইস্পাতের নলের মধ্যে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শকওয়েভ সৃষ্টি করেছিলেন। নল থেকে যে বাতাস বেরিয়ে এসেছিল, তা প্রায় ১ মিটার উঁচু আগুনের শিখার ওপর ধরা হয়। আগুনের শিখার উৎস ছিল একটি প্রপেন বার্নার। বিস্ফোরণের শকওয়েভ এর ধাক্কায় শিখাটি তার উৎস থেকে ছিটকে যায়। দেখা গেল, জ্বালানি থেকে বিচ্ছিন্ন হলেই আগুন নিভে যায়। কিন্তু তার জন্য চাই বিশাল পরিমাণ কমপ্রেসড এয়ার বা ঘনীভূত বাতাস।
ফায়ার সার্ভিস নয়, আগুন নেভাতে আসছে বোমা!

সহজেই এমন কমপ্রেসড এয়ার তৈরি করতে নাইট্রোগ্লিসারিনের মতো বিস্ফোরক কাজে লাগানো যেতে পারে। ডইগ মনে করেন, ভবিষ্যতে হেলিকপ্টার থেকে এমন বিস্ফোরক আগুনের ওপর ফেলে দেওয়া যাবে। তবে শুধু তাতেই কাজ হবে না। এক সার্বিক কৌশলের অংশ হিসেবে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগাতে হবে। তা ছাড়া ব্যাপক আকারে বুশফায়ার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে এই বিস্ফোরক আগুনের প্রসার সাময়িকভাবে বন্ধ করতে পারবে, যাতে উদ্ধারকার্য শেষ করা যায়।
বাস্তবে এই প্রক্রিয়া কাজে লাগাতে গ্র্যাহ্যাম ডইগ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে কাজ করার কথা ভাবছেন। কোন কোন অবস্থায় এটা সবচেয়ে ভালো কাজে লাগতে পারে, তা জানতে চান তিনি। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যদি কোনো আগুন একেবারে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে এখনই বিস্ফোরক কাজে লাগানোর ইচ্ছাও আছে তাঁর। অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে আগুন নেভাতে না পারলেও এই প্রযুক্তির প্রয়োগের বিষয়ে আরও জ্ঞান অর্জন করতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

চুরি করতে গিয়ে মন চুরি!

0 


গল্পের বই ঘাঁটলে চোরেদের বিভিন্নরকম চুরির ঘটনার কথা জানতে পারা যায়। কখনও তাঁরা চুরি করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, তো কখনও চুরি করেও সমস্ত জিনিস গৃহকত্রীর হাতে তুলে দেয়। কিন্তু, সেগুলি গল্পের কথা। বাস্তব জীবনেও চোরের ভিন্ন নিদর্শন রয়েছে। আর বলাই বাহুল্য, জেন ওয়াইয়ের চোর। একটা ফেসবুক ‘এফেক্ট’ তো থাকবেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরকমই এক অদ্ভুত চোরকে খুঁজে পাওয়া গেল। যে চুরির পর ফেসবুকে পাঠায় ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। আর যাঁর থেকে জিনিস চুরি করেছে এবং বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা চালান তিনি একজন নারী। চুরি করলেও তাঁকে মনে ধরেছিল চোরের।  হয়ত তাই একদিন পরই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। চুরির অভিযোগে গত শুক্রবার কিটস্যাপ জেলা আদালতে অভিযুক্ত রিলে অ্যালেন মুলিনসের বিরুদ্ধে চার্জগঠন হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার ব্রামারটন ফেরি টার্মিনালে কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনছিলেন। হঠাৎই মাথায় আঘাত করেন চোর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর আইপড এবং পার্স চলে সরিয়ে নেয় চোর। কোনও রকমে মাথা ঘুরিয়ে দেখতে পেলেন ঘাড়ে চোর জিনিসগুলি নিয়ে ছুটে পালাচ্ছে।  আর লক্ষ্য করতে পারলেন তার ঘাড়ে রয়েছে একটি ট্রায়াঙ্গেল ট্যাটু। ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।  কিন্তু, উল্লেখযোগ্যভাবে ঠিক তার পরের দিন ওই তরুণীর ফেসবুকে আসে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট। আর তার ছবি দেখতে গিয়েই বোঝা যায় গতকালকের চোরই হলো এই নতুন বন্ধু। ট্যাটুটিই চিনিয়ে দিল তাঁকে। ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি যে মুলিনের, তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। জানা গেছে, চোর চুরি করার পর তার তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যায়।

যে কারণে বাড়িতে থাকা উচিত অন্তত একটি পোষা প্রাণী

মায়ের কাছে আবদার করেছিলেন ছোট্ট একটি বিড়াল পালতে আনবেন ঘরে। ছোট্ট সেই বিড়ালটি পুরো ঘরেই দৌড়ে বেড়াবে, আপনার কোলে টানাটানি করবে খাওয়ার জন্য। এরকম আরো কত্ত স্বপ্ন দেখেছিলেন আপনি। কিন্তু সব স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলো যখন আপনার মা আপনার প্রস্তাব নাকচ করে দিলো এক বাক্যে। আর তার কারণো অনেকগুলো। ঘর ময়লা হবে, সময় নষ্ট, অসুখ হবে, খাবারে মুখ দেবে আরো কত কি! মন খারাপ করে মায়ের কথা শোনা ছাড়া আর কিছুই করার ছিলো না আপনার।
যে কারণে বাড়িতে থাকা উচিত অন্তত একটি পোষা প্রাণী
অনেকেই গৃহপালিত প্রাণী ঘরে পুষতে চাইলেও নানান ভয়, ঘেন্না, কষ্টের কথা ভেবে সেই পথে পা বাড়ায় না। কিন্তু আপনি কি জানেন ঘরে একটি পোষা প্রাণী থাকলে আপনার জন্যই সেটা ভালো? জেনে নিন ঘরে পোষা প্রাণী থাকার বেশ কিছু ভালো দিক সম্পর্কে।
১) আপনার যদি বিষন্নতায় ভোগার সমস্যা থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত ঘরে একটি হলেই পোষা প্রাণী রাখা। কারন কুকুর, বিড়াল, মাছ, খরগোশ, পাখি এধরনের প্রাণী গুলো বিষন্নতা কমিয়ে মনকে ফুরফুরে করে দিতে পারে। বিশেষ করে খরগোশ, কুকুর ও বিড়াল এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।
২) আপনি বা আপনার ঘরে কেউ যদি আত্মহত্যা প্রবণ হয়ে থাকে তাহলে তাকে উপহার দিন খুব আদুরে একটি বিড়াল, কুকুর অথবা খরগোশ। মানুষ যেমন মৃত্যুর আগে সন্তানের ভবিষ্যত চিন্তা করে, ঠিক একই ভাবে আদরের পোষা প্রাণীটির কথা চিন্তা করলেও মানুষের বেঁচে থাকার ইচ্ছে বেড়ে যায়।
৩) গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আছে তারা কিছুক্ষন পোষা কুকুর, বিড়ালের সাথে খেলাধুলা করলে কিংবা মাছের একুরিয়ামের দিকে তাকিয়ে থাকলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে এবং মানসিক চাপ কমে যায়।
৪) জরিপে দেখা গিয়েছে যাদের পোষা বিড়াল বা কুকুর আছে, অন্যদের তুলনায় তাঁদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪০% কম এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা ৩০% কম।
৫) পোষা প্রাণীর সাথে খেলাধুলা ও ছোটাছুটি আপনার অনেকটা ক্যালরী পুড়িয়ে ফেলে এবং ওজন ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পৃথিবী জুড়ে স্বর্গীয় সৌন্দর্যে রঙিন ১৫ টি স্থান

আমরা অনেকেই জানি পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে রয়েছে অতুলনীয় সৌন্দর্যের অসাধারণ সব স্থান। কিন্তু অনেকগুলো স্থানের অবস্থান আমাদের কাছে অজানা। আবার আমরা অনেকেই জানি না এই সকল স্থানের আসল সৌন্দর্য কি ধরণের স্বর্গীয় হতে পারে। আসলেই এই প্রিয় পৃথিবীটার অনেক কিছুই আমাদের চোখের আড়ালে রয়ে যায়। নয়ন জুড়িয়ে দেখার সাধ্য অনেকেরই হয়ে উঠে না।
পৃথিবী জুড়ে স্বর্গীয় সৌন্দর্যে রঙিন ১৫ টি স্থান
কিন্তু আফসোস করার কিছুই নেই। পৃথিবীর বুকে এই সকল স্বর্গীয় সৌন্দর্যের স্থানের সন্ধান দিতে এবং এক নজর দেখার সাধ মেটাতে আমরা রয়েছি আপনাদের পাশে। তাই আমাদের আজকের ফিচারে দেখে নিন এমনই অসাধারণ সৌন্দর্যের ১৫ টি স্থান।
(১) কভারে যে ছবিটি দেখছেন এটি কাওয়াচি ফুজি গার্ডেন। এটির অবস্থান কিটাকায়ুসু, জাপান। ল্যাভেন্ডার রঙে ছেয়ে থাকা এই টানেলটি আসলেই স্বপ্নময়। তাই নয় কি?

(২) হলুদ ক্যানোলা ফুলের সমাহারে ছেয়ে গিয়েছে মাইলের পর মাইল জায়গা। এই স্থানটির নাম ক্যানোলা ফ্লাওয়ার ফিল্ড। চীনের ইয়ুন্নানে অবস্থিত এটি।

(৩) অসাধারণ রঙের খেলা লেকের পানিতে। দেখে মনে হয় আকাশের রঙধনু নেমে এসেছে পৃথিবীর বুকে। মর্নিং গ্লোরি নামক এই লেকটি ইয়েলো স্টোন ন্যাশনাল পার্ক, ইউএসএ।

(৪) আকাশ আর মাটির মিলন মনে হয় একেই বলে। নীল ফুলে ছেয়ে থাকা দিগন্ত বিস্তৃত এই জায়গাটির নাম হিতাচি সিসাইড পার্ক। এর অবস্থান হিতাচিনাকা, ইবারাকি, জাপান।

(৫) প্রথম দেখায় যে কেউ মনে করতে পারেন এটি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোনো কাজের খেলা। কিন্তু আসলেই ফ্লাই গেইসার নামক নর্দান নাভাডার এই স্থানটি এতোটা রঙিন।

(৬) সবুজে সুন্দর। সাগানো ব্যাম্বো ফরেস্ট এটি। এর অবস্থান আরাসিয়ামা, জাপান।

(৭) রঙিন পাহাড়ের দেশে। সাউথ ওয়েস্ট চীনের অসাধারণ একটি স্থান ঝাংইয়েই ডানজিয়া।

(৮) গোলাপি রঙের স্থানটি দেখে যে কেউ অন্য কিছু ভাবতে পারেন। কিন্তু আসলে এটি একটি লেক। লেক হিলার মিডেল আইসল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত।

(৯) ইতালির ভেনিস শহরের বুরানো স্থানটির মতো রঙিন বাড়িঘর পুরো পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মনে হয় আসলেই দুষ্কর।

(১০) স্বর্গের জলধারা বলা হয় এই হাভাসু ফলসকে। এটি গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, অ্যারিজোনায় অবস্থিত।

(১১) পাথরের কারুকাজ। দেখে মনে হয় কেউ মনের মাধুরি মিশিয়ে অনেক সময় নিয়ে কাজ করেছেন এই অ্যান্টেলোপ ক্যানিয়নে। কিন্তু পুরোপুরি প্রাকৃতিক অ্যারিজোনার এই ক্যানিয়নটি।

(১২) পুরো জাপানের আনাচে কানাচেই রয়েছে অনেক অসাধারণ স্থান। এই ডিয়াগো-জি টেম্পলটি তারই প্রমাণ। এটি জাপানের কিয়োতোতে অবস্থিত।

(১৩) বলে না দিলে কারো বিশ্বাসই হবে না লাল রঙে ছেয়ে থাকা এই অসাধারণ স্থানটি একটি সমুদ্র সৈকত। পানজিন রেড বীচের অবস্থান চীনে।

(১৪) প্রায় ২.৫ একর স্থান জুড়ে ফুটে রয়েছে সিবাজাকুরা ফুল। তাকিনোউ পার্কটি সত্যিই স্বর্গের সৌন্দর্যে তৈরি। এর অবস্থান হাক্কাইডো জাপান।

(১৫) স্বর্গ থেকে নেমে আসা এই জলের ধারা যেন পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। নীল রঙের ছড়াছড়ির এই স্থানটির নাম ম্যান্ডেনহল আইস কেইভ। এই গুহাটি জুনেউ, আলস্কায় অবস্থিত।

Monday, June 2, 2014

যে ৬টি কারণে দুঃস্বপ্ন দেখি আমরা

বিছানায় সাপ অথবা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে সব আর আপনি দৌড়াচ্ছেন— এমন দুঃস্বপ্ন দেখে গভীর ঘুম থেকে অকস্মাৎ জেগে ওঠা নিশ্চয়ই খুব বিরক্তিকর। এমন সব দুঃস্বপ্ন আপনার ভালো ঘুমকে নষ্ট করতে পারে, এমনকি বিষিয়ে তুলেতে পারে আপনার জীবন।
যে ৬টি কারণে দুঃস্বপ্ন দেখি আমরা
গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা মিস করে ফেলা বা জনসমক্ষে নগ্ন দাঁড়িয়ে আছেন— এমন সব বিরক্তিকর বাজে স্বপ্নের অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। দুঃস্বপ্নের ছয়টি কারণ মনোবিদগণ চিহ্নিত করেছেন।
১। উদ্বেগ এবং মানসিক চাপ:
জীবনে চলার পথে নানা রকম ঘটনা-দুর্ঘটনা মানসিক চাপ এবং অস্থিরতা তৈরি করে। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব ড্রিমস (IASD) এর মতে— প্রিয়জনের প্রবঞ্চনা, লাঞ্চনা, বিবাহবিচ্ছেদ কিংবা পেশাগত বা আর্থিক সমস্যার উদ্বেগ থেকে নানা রকম মানসিক অস্থিরতার কারণে কেউ দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করতে পারেন।
২। প্রচুর মসলাযুক্ত খাদ্য:
রাতের খাদ্যাভ্যাসও আপনার রাতের ঘুমের স্বপ্নকে প্রভাবিত করে দুঃস্বপ্নে রূপান্তর করতে পারে। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সাইকোফিজিওলজি’ একটি ছোট সমীক্ষা চালায় কিছু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী পুরুষদের উপর। তাদের কোন কোন সন্ধ্যায় খেতে দেয়া হয় প্রচুর মসলাসমৃদ্ধ খাবার। আর কোন কোন দিন স্বাভাবিক খাবার। তারপর তুলনা করে দেখতে পায়— যেদিন মসলাসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয় সেদিন তাদের ঠিকমতো ঘুম হয় না এবং দুঃস্বপ্নের মতো বাজে ব্যাপারগুলো ঘটে ঘুমের মাঝে। কারণ মসলাযুক্ত খাবার শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়, খাদ্য হজমে সমস্যা করে, এমনকি মস্তিষ্কের স্বাভাবিক ক্রিয়াতে বিঘ্ন ঘটায়— ফলে দুঃস্বপ্ন আসতেই পারে ঘুমের ভেতর।
৩। চর্বিযুক্ত খাবার:
দিনে প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে রাতে আপনার সুনিদ্রাতে মারত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। ২০০৭ সালে প্রকাশিত এক মনস্তাত্ত্বিক প্রতিবেদনে লেখক বলেন— যারা সুষম খাবার খায় তাদের তুলনায় যারা চর্বিযুক্ত খাবার(জাংকফুড) গ্রহণ করে তাদের ঘুম ও স্বপ্নে এর বাজে প্রভাব পরে।
৪। অ্যালকোহল:
অ্যালকোহল আপনাকে হয়তো দ্রুত ঘুমিয়ে যেতে সাহায্য করবে কিন্তু এর প্রভাব কেটে গেলে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যাবে পরিমিত ঘুম হওয়ার আগেই। অ্যালকোহল সেবন দুঃস্বপ্ন দেখার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক।
৫। ঔষধ ও মাদক:
মাদক সহ কিছু কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে দুঃস্বপ্ন হতে পারে। মাদক সরাসরি আমাদের চিত্তের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আর কোন কোন ঔষধে ব্যবহৃত উপাদান ঘুমের জন্য ক্ষতিকর। দেখা গেছে সেসকল ঔষধ সেবনের ফলে দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবনতা বেড়ে যায়।
৬। অসুস্থতা:
কথায় বলে ‘শরীর ঠিক তো সব ঠিক’। শরীরই যদি অসুস্থ হয়, ঘুমে এর প্রভাবতো পড়বেই। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দুঃস্বপ্ন দেখতে পারেন। জ্বর কিংবা ঘুমের বিভিন্ন অসুখ (Apnea, Narcolepsy) দুঃস্বপ্নের প্রকোপ বৃদ্ধি করতে পারে।
দুঃস্বপ্নকে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা ও আচরণের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হয়। তবে এর তীব্রতা যদি আপনার স্বাভাবিক জীবন যাপনকে ব্যহত করে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। তবে দুঃস্বপ্নের এই ছয়টি কারণকে দূরে ঠেলে আপনি নিশ্চয়ই সুনিদ্রা আনয়নে সক্ষম হবেন।

শামুকের মুখে ১৪ হাজার দাঁত!


শামুকের মুখে ১৪ হাজার দাঁত!
বাড়ির সামনে এক টুকরো বাগান বদলে দিতে পারে পুরো পরিবেশটাই। যারা বাগান করেন তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি দৃশ্য শামুকের বিচরণ। অনেক সময় শখের বাগানে লাগানো গাছের পাতা খেয়ে নষ্ট করে ফেলে এরা।

সাম্প্রতিক গবেষকদের ভাষ্য,  আপনার বাগান থেকে ৬৫ ফুট দূরে ফেলে দিলে শামুক আর ফিরে আসবে না।

শামুক খুবই পরিচিত প্রাণী হলেও এদের জীবনধারণ প্রক্রিয়া, স্বভাব সম্পর্কে অজানা রয়েছে অনেক তথ্য।
যেমন, শামুকের জীবনসীমা নির্ভর করে কোনো প্রজাতির এবং কীভাবে জীবনধারণ করছে তার ওপর। কিছু প্রজাতির শামুক রয়েছে যারা মাত্র পাঁচ বছর বাঁচে। তবে সৌভাগ্যবান অনেক প্রজাতির শামুক বাঁচে ২৫ বছর পর্যন্তও।

শামুক কি খাওয়া যায়? শামুক কি বিষাক্ত?

অনেকেই ধারণা করেন, শামুক মানুষের খাওয়ার যোগ্য নয়। তবে আধুনিক গবেষকরা বলছেন, পাকস্থলিতে আলসারের চিকিৎসায় শামুক ব্যবহার করা যেতে পারে। স্থলভাগের শামুক বিষাক্ত না হলেও সামুদ্রিক প্রজাতির শামুক সাধারণত বিষাক্ত হয়। আশ্চর্য মনে হলেও সামুদ্রিক প্রজাতির শামুক ঠিকমতো রান্না করা না হলে তা মানুষের মৃত্যুরও কারণ হতে পারে!
যদিও শামুকের ‘পৃথিবীর সব চেয়ে কম গতির প্রাণী’ হিসেবে বদনাম রয়েছে। কিন্তু স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় এরা এক সেকেন্ডে প্রায় ১.৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।

শামুক কি চোখে দেখে?

শমুককে প্রায় ‍অন্ধ বললেই চলে। একইসঙ্গে পৃথিবীর শব্দ শোনার ক্ষমতাও নেই এদের। তবে তাদের এক অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে গন্ধ নেওয়ার।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় যে, অনেকেই ধারণা করেন, শামুকের দাঁত নেই। কিন্তু দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যেতে হলে শামুকদের নির্ঘাত অনেক টাকা গুণতে হতো! কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, যে প্রজাতির শামুক বাগানে বসবাস করে তাদের মুখে গড়ে ১৪ হাজারের বেশি দাঁত থাকে!
- See more at: http://www.deshebideshe.com/news/details/34773#sthash.FcwiHRJ0.dpuf

যখন খুশি তখন বিয়ে যে দেশে

যখন খুশি তখন বিয়ে যে দেশে
‘ওঠ ছেরি তোর বিয়ে” এই প্রবাদটি আমাদের দেশে যেমনটা সচরাচর ব্যবহৃত হয় তেমনিভাবে এর প্রয়োগ ও যথারীতি ঘটে থাকে। আমাদের এখনে আমরা যখন খুশি বিয়ে করতে পারি। দিনে বা রাতে, সকালে বা সনধ্যায় যখনই হোক। বিয়ে করা বা না করা একান্ত দুটি মানুষের ইচ্ছা অনিছার ব্যাপার। অন্ধকার নেমে আসার পর বিয়ে করা যাবে না, এমন কোন নিয়ম আমাদের দেশে নেই। বিয়ে করা আমাদের দেশে খুব সহজ হলেও কিন্তু ব্রিটিশদের জন্য তা এতটা সহজ নয়। কারণ তারা তো আর আমাদের নিয়ম এ চলে না।
বিয়ের জন্য তাদের যে আইন প্রচলিত আছে, তাতে সনধা হবার আগে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। ১৭৬ বছর ধরে এই আইন ব্রিটিশ সমাজে প্রচলিত ছিল। এতো দিন সেই আইনে ব্রিটিশদের কেবল দিনের আলোতেই বিয়ে করতে হতো। মন চাইলেই তারা রাতে বিয়ে করতে পারত না।
বিয়ে করার জন্য সকাল আটটা থেকে সনধা ছয়টা পর্যন্ত সময় নির্দিষ্ট ছিল। রাতের বেলা বিয়ে করা নিযেধ ছিল ব্রিটিশ আইনে। এক বছর আগে ব্রিটিশরা এই আইনের সংস্কার এনেছে। সরাষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের চলতি আইনের সংস্কারের উদ্ধ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে এজন্য তারা সাধারণ জনগনের মতামত নিয়েছে। এরপর তারা তাদের পুরোনো আইন বিলুপ্ত করে নতুন আইন তৈরি করেছে।
এখন থেকে ব্রিটিশদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে আর কোন সময়ের নির্দিষ্টতা থাকল না। এখন থেকে তারা যখন খুশি সপ্তাহে সাত দিনের চব্বিশ ঘণ্টার যেকোন সময় বিয়ে করতে পারবে।

সবচেয়ে কুৎসিত নারীর দিনবদলের গল্প

সবচেয়ে কুৎসিত নারীর দিনবদলের গল্প
‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি’ শোনার বদলে তিনি সারা জীবন শুনে এসেছেন তুমি কুৎসিত, বীভৎস- তাই দূরে সরে থাকি। লিজ্জি ভেলাসকুয়েজ। বিরল একটি রোগে আক্রান্ত। কোনোদিন ফিরে পাবেন না তার স্বাভাবিক ওজন। এখন তার ওজন মাত্র ৬৪ পাউন্ড।
লিজ্জিকে পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত মহিলা বলে অভিহিত করা হয়। জন্মের পর থেকে কুৎসিত চেহারা ছিল তার জন্য নিদারুণ এক অভিশাপ। আজ সেই চেহারাই তার আশীর্বাদ।
লিজ্জি বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পান ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। টিইডি নামের একটি সাইটে তিনি তার দুঃখের কথা শোনান। টিইডি হচ্ছে এমন একটি ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি আপনার ব্যক্তিগত কষ্টের কথা শোনাতে পারবেন। লিজ্জির বক্তব্য সংবলিত সেই টিইডি-ভিডিও ৫.৭ মিলিয়ন বার ইউটিউবে দেখা হয়। এরপর আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকে তার জীবন। তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়াতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ।
‘আমি তাদের আদর্শ হতে চাই, যারা নিজেদের অসহায় ভাবেন।’ বলেন ২৫ বছর বয়সী লিজ্জি।
লিজ্জির রোগটা এতটাই বিরল যে, এই রোগে পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত মাত্র তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরই একজন লিজ্জি। লিজ্জির এক চোখ নষ্ট।
তিনি বলেন, ‘ভিডিওটি আমার জীবন বদলে দিয়েছে। বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।’
‘কোনো একসময় চোখের জল ছিল আমার একমাত্র সম্বল। তা সত্ত্বেও আমি বুঝতে শিখেছি সিনড্রোম রোগটি আমার জন্য অভিশাপ নয়। এটা আমার কাছে এমন একটা আশীর্বাদ, যার মাঝে আমি অনুপ্রেরণা খুঁজে পাই। আর অন্যকে অনুপ্রাণিত করি।’
তিনি এখন নিজের জীবনী নিয়ে ছবি বানানোর কথা ভাবছেন। অসহায় মানুষের সেবা করার স্বপ্ন দেখছেন। সেই লক্ষ্যে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে নেমেছেন তিনি।
ইতিমধ্যে এক লাখ ২৩ হাজার ইউএস ডলার সংগ্রহ করেছেন। লিজ্জি জানিয়েছেন, ৩১মের মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজার ইউএস ডলার সংগ্রহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন তিনি।

বিশ্বজুড়ে ভয়ংকর ভূতুড়ে ৬ হোটেল ও সেগুলোর শিউরে গা ওঠা সব ঘটনা

অমীমাংসিত রহস্যময় ঘটনা গুলো চিরকালই মানুষকে আকর্ষন করে। আর তাই ভূত-প্রেত ভয় পেলেও মানুষ বারবারই জানতে যায় ভূতপ্রেত সম্পর্কে। অশরীরী কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনেকেই বিশ্বাস করতে না চাইলেও প্রতিনিয়তই পুরো বিশ্বে ঘটছে নানান রকমের রহস্যময় ঘটনা যার কোনো ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব হয়না কখনই। আধুনিক যুগের প্রযুক্তিও হার মেনে যায় এসব রহস্যময় ঘটনার কাছে।
বিশ্বজুড়ে ভয়ংকর ভূতুড়ে ৬ হোটেল ও সেগুলোর শিউরে গা ওঠা সব ঘটনা
বেড়াতে গিয়েছেন যখন তখন নিশ্চয়ই ভালো কোনো হোটেলে থেকেছেন রাত কাটানোর জন্য। আর তা যদি হয় দেশের বাইরের কোনো বিলাসবহুল হোটেল তাহলে তো কথাই নেই। বিশ্বের তেমনই কিছু বিলাসবহুল হোটেলে হরহামেশাই ঘটছে ভূতুড়ে কান্ডকীর্তি। তেমনই ৬টি হোটেলের কিছু রহস্যময় ঘটনা জেনে নিন এই ফিচারে।
ল্যাংহাম হোটেল, লন্ডন
ফিচারের কভারে যেই ছবিটি দেখছেন সেটা লন্ডনের ল্যাংহাম হোটেলের। ১৮৮৫ সালে তৈরী হওয়া এই হোটেলে বহু নামীদামী লোকজন বসবাস করেছেন বিভিন্ন সময়ে। আর তার পাশাপাশি বেশ কিছু ভূতেরও বসবাস আছে এই হোটেলে? অবাক হচ্ছেন? এই হোটেলের রুম নাম্বার ৩৩৩ এ ভিক্টোরিয়ান ইভনিং পোশাক পরা একটি পুরুষের ছায়া দেখা যায়। তবে এই ছায়া শুধুমাত্র অক্টোবর মাসেই দেখা যায়। অন্যসময়ে কোনো সমস্যা হয় না। অনেকেই এই হোটেলের ৪ তলার জানালায় মিলিটারি পোশাক পরা একজনকে প্রায়ই দেখতে পান। ধারনা করা হয় এটা জার্মান প্রিন্সের আত্মা যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে জানালা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

হোটেল বার্চিয়ান্তি, ইতালি

ইতালির ফ্লোরেন্সে অবস্থিত এই হোটেলটিকে ভূতের হোটেলই বলা চলে। কারণ এই হোটেলে যারাই অবস্থান করেছে তাদের অনেকেই নানান রকম ভৌতিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। ছোট শিশুর ছায়া, নারীর চেয়ারে বসে উল বোনার দৃশ্য, ভোর বেলা ভৌতিক ক্লিনার সহ আরো নানান রকমের অদ্ভুত অশরীরী দেখতে পেয়েছেন অনেকেই। এমনকি অনেকে হোটেলের যে রুমটিতে মুসোলিনি থেকেছিলেন সেখানে তার আত্মাও দেখতে পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

রাসেল হোটেল, অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত এই হোটেলের ৮ নম্বর রুমটিকে সবাই এড়িয়ে চলেন। আর তার কারণ হলো এখানেও ভৌতিক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন অনেকেই। বলা হয়ে থাকে এই রুমে আটকে আছে এক নাবিকের আত্মা। হোটেলের কর্মচারীরা গভীর রাতে এই রুম থেকে জোরে জোরে পা ফেলে হাটার শব্দও পেয়ে থাকেন নিয়মিত। যদিও রুমটিতে কখনই কেউ থাকে না!

ক্যাসেল স্টুয়ার্ট, স্কটল্যান্ড

১৬২৫ সালে স্থাপিত এই ক্যাসেলটি তৈরী করেছিলেন জেমস স্টুয়ার্ট। তিনি ছিলেন তৎকালীন স্কটল্যান্ডের রানীর দূর সম্পর্কের ভাই। ক্যাসেলটি তৈরীর পর থেকেই নানান রকমের ভৌতিক কান্ড ঘটতে থাকে সেখানে। ফলে এক পর্যায়ে সেটা বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায় মানুষের জন্য। অনেকেই ব্যাপারটা বিশ্বাস করেন নাই। আর তাই স্টুয়ার্ট একপর্যায়ে ঘোষণা দেন যে কেউ যদি এক রাত ক্যাসেলে থেকে প্রমাণ করতে পারে যে সেখানে ভুত নেই, তাকে পুরস্কৃত করা হবে। এই প্রস্তাবে এলাকার ধর্ম যাজক পেট্টি চার্চ সেখানে রাত্রিযাপন করার প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। পরদিন সকালে ক্যাসেলটিতে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃতদেহের চেহারাটি ছিলো প্রচন্ড ভয়ার্ত!

কোম্ব অ্যাবি হোটেল, ইংল্যান্ড

১৩৪৫ সালে এই হোটেলে খুন হয়েছিলেন জিওফ্রে নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু তার খুনিকে কখনই খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে জিওফ্রে এর আত্মা ছেড়ে যায়নি হোটেলটি থেকে। আর তাই অনেকেই মাঝ রাতে হোটেলের রান্নাঘর থেকে হাড়িপাতিল ছুড়ে ফেলার শব্দ পান। শব্দ শুনে মনে হয় কেউ যেন তীব্র আক্রোশে জিনিসপত্র ছুড়ছে এদিক ওদিকে।

দ্যা হাওথ্রন হোটেল, আমেরিকা

আমেরিকার ম্যাসাচুসেটসে অবস্থিত হোটেল দ্যা হাওথ্রনে অনেক বিখ্যাত মানুষ থেকেছেন অনেক সময়। এমনকি আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ও তার স্ত্রীও থেকে গিয়েছেন এখানে। কিন্তু এই হোটেলেরও আছে ভৌতিক ঘটনা ঘটার বদনাম। চোখের সামনে থেকে চাবি গায়েব হয়ে যাওয়া, সুইচ অন ছাড়াই লাইট অন এবং অফ হয়ে যাওয়া, হঠাৎ পানির কল চালু হয়ে যাওয়া সহ আরো নানান রকম সমস্যা হয় এই হোটেলের অনেক গুলো রুমেই। হোটেলের ৬১২ নম্বর রুমের ঠিক সামনে অনেকেই একটি নারীর অবয়ব দেখতে পেয়েছেন অনেকবারই। কিন্তু পিছু নিতে গেলেই বার বার মিলিয়ে গিয়েছে সেটা।

দুর্ঘটনাক্রমে পাওয়া ১৩টি আবিষ্কার

প্রয়োজন সব সময় উদ্ভাবনের ক্ষেত্র তৈরি করে না। দুর্ঘটনাক্রমেও অনেক বিশাল আবিষ্কার হয়েছে। আমাদের রোগের চিকিৎসা, তৃপ্তির খাবার এবং প্রতিদিনকে আনন্দময় করতে বিজ্ঞান যেসব জিনিস দিয়েছে তার সবকিছুই কিন্তু খুব ভেবে-চিন্তে বের করা হয়নি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রয়েছে যা হঠাৎ করেই আবিষ্কৃত হয়ে গেছে।
দুর্ঘটনাক্রমে পাওয়া ১৩টি আবিষ্কার যা পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে
এখানে দেখুন এমনই ১৩টি আবিষ্কার যা হঠাৎ করে আমরা পেয়ে গেছি এবং যেগুলো বদলে দিয়েছে পৃথিবী।
১. পেনিসিলিন : স্যার আলক্সান্ডার ফ্লেমিং এই বিস্ময়কর ওষুধ হঠাৎ করেই তৈরি করেন। এ বিষয়ে গবেষণা করতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে তিনি তা ছুড়ে ফেলে দেন এবং তখনই যা চাচ্ছিলেন তা পেয়ে যান। ১৯২৮ সালের একদিন ফ্লেমিং দেখেন যে, তার পেট্রি ডিসে যে পদার্থ তৈরি হয়েছে তা সব ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলছে। সেখান থেকেই তৈরি হয় বিস্ময়কর অ্যান্টিবায়োটিক পেনিসিলিন। ১৯০০ সাল থেকে সংক্রমণের কারণে মানুষ যেভাবে মারা যেতো, পেনিসিলিন আবিষ্কারের পর মৃত্যুর হার বিশ ভাগের এক ভাগ কমে গেছে।

২. কোকা-কোলা : 
ফার্মাসিস্ট জন পেমবার্টন এই জনপ্রিয় পানীয়টি আবিষ্কার করেন। ১৮৮০ এর দশকে আটলান্টায় বসবাসের সময় পেমবার্টন মদ ও কোকো দিয়ে তৈরি এক ধরনের সিরাপ বিক্রি করতেন যার নাম ছিলো 'পেমবার্টনস ফ্রেঞ্চ ওয়াইন কোকা'। দুর্বলতা এবং মাথাব্যথা নিরাময়ের কাজে এ সিরাপ ব্যবহার করা হতো। ১৮৮৫ সালে আটলান্টায় মদ বিক্রি নিষিদ্ধ হলে পেমবার্টন খাঁটি কোকা দিয়ে কার্বনেটেড পানীয় হিসেবে সিরাপটি বানান যা আজকের কোকা-কোলা।

৩. চকোলেট চিপ কুকি : 
টল হাউজ ইন এর মালিক রুথ ওয়েকফিল্ড চকোলেট কুকি বানাতে গিয়ে আজকের জনপ্রিয় চকোলেট চিপ কুকি বানিয়ে ফেলেন। ১৯৩০ এর দিকে বেকারস চকোলেটে কাজ করার সময় এই নারী কুকির কাঁচা অংশে চকোলেট ছোট ছোট করে কেটে দিয়ে দেন।

৪. আলুর চিপস : 
নিউ ইয়র্কের ক্যারি মুন লেক হাউজের শেফ জর্জ ক্রাম ১৮৫৩ সালের একদিন এক ক্রেতার জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাচ্ছিলেন। দেওয়ার পর ওয়েটার তা ফিরিয়ে নিয়ে আসেন এবং শেফকে বলেন তা আরো পাতলা এবং মচমচে করে দিতে। শেফ রেগে গিয়ে একেবারে পাতলা করে আলু কাটেন এবং তা খটখটে না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকেন। তৈরি হয় আজকের পটেটো চিপস।

৫. পেসমেকার : 
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জন হুপস হাইপোথারমিয়া নিয়ে গবেষণা করছিলেন এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে দেহের তাপমাত্রা ফেরাতে কাজ শুরু করেন। তিনি বুঝতে পারেন, যদি ঠাণ্ডায় হৃদযন্ত্র কাজ বন্ধ করে দেয় তবে একে কৃত্রিমভাবে চালু করা যাবে। এই উপলব্ধি থেকেই ১৯৫১ সালে তৈরি হয় পেসমেকার।

৬. সিলি পুটি : 
জেনারেল ইলেকট্রিকে কর্মরত প্রকৌশলী জেমস রাইট এটি আবিষ্কার করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্লেনের টায়ার, গ্লাভস ইত্যাদির জন্য রাবারের প্রয়োজন হয়। এর বিকল্প হিসেবে জেমস সিলিকন থেকে কিছু একটা বানানো চেষ্টায় ছিলেন। ১৯৪৩ এর দিকে হঠাৎ একদিন তিনি সিলিকন ওয়েলে বরিক এসিড দিলেন। এতে আঠালো এবং বাউন্স করে এমন এক ধরনের পদার্থ তৈরি হয়। এর বাস্তবিক ব্যবহার তিনি তৎক্ষণাত বুঝতে না পারলেও খুব শিগগিরই সিলি পুটি দারুণ কাজের বস্তুতে পরিণত হয়।

৭. মাইক্রোওয়েভ ওভেন : 
১৯৪৬ সালের দিকে রেথিওন করপোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার পারসি স্পেন্সার বায়ুশুন্য টিউবের মধ্যে রাডার সংক্রান্ত একটি পরীক্ষা করছিলেন। এটি করার সময় তার পকেটে থাকা একটি ক্যান্ডি গলতে শুরু করে এবং তিনি তা খেয়াল করেন। তিনি দ্রুত কিছু কর্ন সেখানে দিলেন। মুহূর্তেই হয়ে গেলো পপকর্ন। তৈরি হলো আজকের অতি প্রয়োজনীয় মাইক্রোওয়েভ ওভেন।

৮. ওষুধ হিসেবে এলএসডি :
 ১৯৩৮ সালে সুইজারল্যান্ডের একটি ল্যাবরোটরিতে রসায়নবিদ অ্যালবার্ট হফম্যান লিজারসিক এসিড নিয়ে কাজ করছিলেন। এর যাবতীয় বিষয় নিয়ে গবেষণাকালে তিনি অসচেতনভাবে সামান্য অংশ গিলে ফেলেন। এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে মানুষকে অকল্পনীয় কাল্পনিক জগতে নেওয়ার একটি ওষুধ এলএসডি। খোদ স্টিভ জবস বলেছেন, জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ যে দুই-তিনটি কাজ করা হয়েছে তার মধ্যে একটি হলো, এলএসডি নেওয়া।

৯. স্যাকারিন : 
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক কনস্টেনটাইন ফালবার্গ ১৮৭৯ সালে কয়লার নতুন ব্যবহার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। কোনো এক পর্যায়ের পরীক্ষার পর কয়লার গাদ লেগেছিল তার হাতে। গবেষণার ফাঁকে বিস্কটি খেতে গিয়ে খেয়াল করলেন, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি মিষ্টি লাগছে। পেয়ে গেলেন স্যাকারিন।

১০. পোস্ট-ইট নোট : 
১৯৬৮ সালের কথা। থ্রিএম ল্যাবরোটরিতে কাজ করতেন স্পেন্সার এবং আর্ট ফ্রাই। স্পেন্সার তার বানানো হালকা আঠার কোনো ব্যবহার খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এই আঠার বৈশিষ্ট্য ছিলো তা হালকা কিছুকে বোর্ডে বা দেয়ালে লাগিয়ে রাখতে পারতো। আবার তুলে ফেললে দুটো স্তরের কোনোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। একদিন তার বন্ধু বইয়ে ছোট ছোট নোট লিখা কাগজ লাগানোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সমাধান না পেয়ে মেজাজ খারাপ তার। এ বিষয় নিয়ে দুই বন্ধুর কথোপকথনের সময় বের হয়ে আসে পোস্ট-ইট নোটস এর ধারণা।

১১. স্কচগার্ড : 
থ্রিএম এর কেমিস্ট প্যাস্টি শেরম্যান ১৯৫৩ সালে এয়ারক্র্যাফটের জ্বালানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এমন একটি রাবার বানানোর কাজ করছিলেন। একটি তরলের মিশ্রণ নিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ সেখান থেকে একটি ফোঁটা তার জুতোয় পড়ে। শেরম্যান খেয়াল করেন, তার জুতো ময়লা থাকলেও ফোঁটা যেখানে পড়েছিল সে স্থানটি চকচক করছে। এটি নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেন যা আজকের স্কচগার্ড।

১২. কর্ন ফ্লেকস :
 জন এবং উইল কেলগ শস্যকণা থেকে গ্র্যানোলা বানানোর চেষ্টা করছিলেন। ১৮৯৮ সালের ঘটনা, তারা বিভিন্ন শস্যকণা জাল দিতে গিয়ে তা ভুলে কয়েকদিন একটি স্টোভে রেখে দেন। এতে শস্য জাল হয় এবং শুকনো ও পাতলা হয়ে যায়। এতে কয়েকটি বৈজ্ঞানিক কারিগরি ফলানোর পর ভেজা ভাব চলে যায় এবং আজকের কর্ন ফ্লেকস তৈরি হয়।

১৩. স্লিংকি :
 ১৯৪৩ সালে রিচার্ড জোনস এমন একটি মিটার ডিজাইন করতে চেয়েছিলেন যা যুদ্ধের জাহাজের শক্তি পর্যবেক্ষণ করবে। টানটান একটি স্প্রিং নিয়ে কাজ করার সময় হঠাৎ একটি স্প্রিং নিচে পড়ে এক জায়গায় অবস্থান করে এপাশ-ওপাশ করতে থাকে। ব্যাস, জন্ম হলো আজকের স্লিংকির।